
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য জুড়ে বিজেপির “বাংলাদেশি” বাঙালি তকমা দেওয়ার বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস শুরু করেছে প্রতিবাদ মিছিল। আজ ভগবানগোলা ২ ব্লক তৃণমূল কমিটির উদ্যোগে ব্লক সভাপতি আব্দুর রউফ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মীরা বিবি, জেলা পরিষদ সদস্য ও অন্যান্য শীর্ষ নেতারা হাত ধরে প্রায় চার কিলোমিটার পায়ে হেঁটে প্রতিবাদ মিছিল করেন।
তৃণমূলের অভিযোগ, রাজ্যে থাকা শ্রমিক বাঙালি পরিবারগুলিকে মহাজনচিহ্ন দিয়ে রাজনৈতিকভাবে টার্গেট করছে বিজেপি, ওরা ‘বাংলাদেশি’ বলে গালি দিচ্ছে, মারধর করছে। সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে তারাই আজ তৃণমূলের মঞ্চ ভেঙে দিয়েছে — যা একেবারেই লজ্জার বিষয় বলে তৃণমূলের নির্দেশ — এমনটাই দাবি করেছেন ব্লক সভাপতি আব্দুর রউফ।
এদিকে গতকাল কলকাতার ময়দান এলাকায় তৃণমূলের “ভাষা আন্দোলন” মঞ্চটি সেনাবাহিনী দ্বারা ভেঙে ফেলা হয়েছে, যার জেরে রাজ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল আক্রমণ করে বলেছেন, “আমি সেনাবাহিনীকে দোষ দিচ্ছি না; দোষ দিচ্ছি বিজেপিকে—তারা সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করতে ব্যবহার করছে,” এবং এটি “অনৈতিক, অগণতান্ত্রিক রাজনীতি” বলেও মন্তব্য করেছেন। তবে সেনাবাহিনী নিয়ম অনুযায়ী মঞ্চটি দুই দিনের অনুমোদনের বেশী সময় ধরে রাখা ছিল বলে দাবি করছে এবং বহুবার স্মারকলিপি দেওয়ার পর structure এখনও সরায়নি বলে জানিয়েছে ।
কাল শুরু হওয়া রাজ্য সংসদের বিশেষ অধিবেশনে তৃণমূল একটি রেজুলিউশন পাশ করানোর উদ্যোগ নিয়েছে, যাতে বাংলা ভাষী কর্মীদের বিরুদ্ধে অন্য রাজ্যে হওয়া নির্যাতন-বিজ্ঞাতকরণ, আটক এবং ‘বাংলাদেশি’ তকমা দেওয়া নিয়ে আলোচনা হবে ।
‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে গায়েবানি নির্যাতন ও মারধর: শ্রেণীকেন্দ্রিত কর্মীদের রাজনৈতিক ভাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
সেনাবাহিনীর ব্যবহার: স্বাভাবিকভাবে স্বাধীন ও সম্মানিত দেহ, তৃতীয় দিক রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে তৃণমূলের বক্তব্য।
মঞ্চ ভাঙা ও মিছিল নিষেধাজ্ঞা: নির্দিষ্ট নিয়মের বাইরে মঞ্চ রাখা হয়েছে জানিয়ে সেনাবাহিনী সরিয়েছে, তৃণমূল তার অনুমোদন ও সিকিউরিটি ডিপোজিট জমা দেয়া দাবি করে।
রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব তীব্র: কেন্দ্র বনাম রাজ্য স্তরে রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়ে যাচ্ছে, সেনাখাতকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ দিচ্ছে তৃণমূল, ক্ষমতাসীনজোরা অভ্যন্তরীণ নৈতিক অখণ্ডতা প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
নায়কের ভাষা রাজনীতি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আব্দুর রউফ একযোগে ভাষা ও জাতিগত সংহতির রুখ ধরছেন।
সাংসদীয় পর্যায়ে প্রশ্ন উত্থাপন: আইনসভায় তুলে নেয়া হচ্ছে রাষ্ট্রীয় ধারনা ও সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা।
“আমি সেনাবাহিনীকে দোষ দিচ্ছি না, দোষ দিচ্ছি বিজেপিকে… তারা সেনাবাহিনীর গেরুয়া ইচ্ছা পূরণে ব্যবহার করছে।” — মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়