কোলে ছোট্ট সন্তান, এক হাতে বাবরি মসজিদের জন্য একটি ইট—এই দৃশ্যই যেন মুহূর্তে থমকে দিয়েছে চারপাশের মানুষকে। ভাটা থেকে হেঁটে আসা এক মায়ের এই যাত্রা শুধুই ইট আনার নয়, এ এক গভীর ভালোবাসা, বিশ্বাস আর আবেগের গল্প।
মুখে ক্লান্তির ছাপ থাকলেও চোখে ছিল অদ্ভুত এক আনন্দ। শিশুটিকে শক্ত করে বুকে আগলে রেখে মায়ের একটাই কথা—“এটা শুধু ইট নয়, আমার ভালোবাসা।” সংসারের ব্যস্ততা, দায়িত্ব, শারীরিক কষ্ট—সবকিছুকে ছাপিয়ে বাবরি মসজিদের জন্য কিছু দেওয়ার তাগিদই তাঁকে টেনে এনেছে এখানে।
এই মায়ের কাছে বাবরি মসজিদ শুধু একটি ধর্মীয় স্থাপনা নয়, বরং বিশ্বাসের প্রতীক। সন্তানের ভবিষ্যৎ যেন শান্তি আর সম্প্রীতির পথে বেড়ে ওঠে—এই প্রার্থনাই যেন ধরা পড়েছে তাঁর চোখেমুখে। শিশুটি কখনো মায়ের মুখের দিকে তাকাচ্ছে, কখনো চারপাশের মানুষের দিকে—অজান্তেই সে হয়ে উঠেছে এই আবেগঘন মুহূর্তের কেন্দ্রবিন্দু।
এই দৃশ্য দেখেই বোঝা যায়, ভালোবাসা কখনো বড় বা ছোট হয় না। কারও কাছে দান মানে অর্থ, কারও কাছে শ্রম—আর এই মায়ের কাছে দান মানে নিজের কষ্ট, নিজের সময়, নিজের মমতা। ভাটা থেকে বাবরি মসজিদের পথে এই যাত্রা তাই এক নিঃশব্দ বার্তা দেয়—বিশ্বাস জোর করে নয়, হৃদয় দিয়ে বহন করতে হয়।
আজ এই মা একা নন। তাঁর সঙ্গে জুড়ে গেছে অসংখ্য মানুষের আবেগ, সম্মান আর ভালোবাসা। কোলে সন্তান নিয়ে এক মায়ের এই ছোট্ট উদ্যোগই হয়ে উঠেছে বড় এক মানবিক উদাহরণ—যেখানে ইটের চেয়েও ভারী হয়ে ওঠে মমতা।
